বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, লাগাই গাছ বাড়াই বন’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচি বিষয়ে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষের এক কোটি চারা ছাড়াও চলতি বৃক্ষরোপণ অভিযানে প্রতিটি সংসদীয় আসনের বিপরীতে পাঁচ হাজার করে মোট ১৫ লাখ বনজ, ফলদ ও ওষধি চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে রোপণের জন্য বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বন বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এ অর্থবছরে সাত কোটি বৃক্ষরোপণ করা হবে। রোপণ পরবর্তীকালে এসব চারা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরিবশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় উৎসারিত দূরদর্শী ভাবনা হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান’ যার ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় চরাঞ্চল বনায়নে সফল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অন্যতম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে মুজিববর্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রতিটিতে ইতোমধ্যে ২০ হাজার ৩২৫টি করে বিবিধ প্রজাতির বনজ, ঔষধি ও ফলদ বৃক্ষের চারা বন বিভাগের নার্সারিতে উত্তোলন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটি চারা বিতরণ ও রোপণ বিষয়ে বিষদ কর্মপরিকল্পনাসহ চারা গ্রহণকারীদের তালিকা প্রণয়ন করেছে বলে মন্ত্রী জানান।
‘মুজিববর্ষে রোপণের জন্য উত্তোলিত এক কোটি চারার মধ্যে শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ফলদ এবং অবশিষ্ট পঞ্চাশ ভাগ বনজ, ওষধি ও শোভাবর্ধনকারী প্রজাতির চারা রয়েছে,’ যোগ করেন শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
এসময় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একে এম রফিক আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ শামীম আল রাজী এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।